অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান কম্বোডিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। কারণ, চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকসহ দুই দেশের ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও বলেছেন, তার দেশ নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তার দেশ এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।

থাইল্যান্ড এখনও কম্বোডিয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন জারি করে থাইল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দুই দেশে কমপক্ষে ৩২ জন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ২০০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রথম গুলি চালানোর জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।

শনিবার, থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে কম্বোডিয়ানরা দক্ষিণে উপকূলের কাছে একটি নতুন এলাকায় আক্রমণ শুরু করেছিল, কিন্তু নৌবাহিনী তাদের প্রতিহত করেছে।

এদিকে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে এই সংঘাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো প্রয়োজন নেই, যদিও বিশ্ব নেতারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

কম্বোডিয়া বলেছে, থাই সৈন্যরা সীমান্তের কাছে একটি খেমার-হিন্দু মন্দিরে অগ্রসর হয়ে পূর্বের চুক্তি লঙ্ঘন করে সংঘর্ষ শুরু করেছিল। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে চলে আসছে, যখন ফরাসিদের কম্বোডিয়া দখলের পর দুই দেশের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান কম্বোডিয়ার

আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। কারণ, চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকসহ দুই দেশের ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও বলেছেন, তার দেশ নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তার দেশ এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।

থাইল্যান্ড এখনও কম্বোডিয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন জারি করে থাইল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দুই দেশে কমপক্ষে ৩২ জন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ২০০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রথম গুলি চালানোর জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।

শনিবার, থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে কম্বোডিয়ানরা দক্ষিণে উপকূলের কাছে একটি নতুন এলাকায় আক্রমণ শুরু করেছিল, কিন্তু নৌবাহিনী তাদের প্রতিহত করেছে।

এদিকে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে এই সংঘাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো প্রয়োজন নেই, যদিও বিশ্ব নেতারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

কম্বোডিয়া বলেছে, থাই সৈন্যরা সীমান্তের কাছে একটি খেমার-হিন্দু মন্দিরে অগ্রসর হয়ে পূর্বের চুক্তি লঙ্ঘন করে সংঘর্ষ শুরু করেছিল। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে চলে আসছে, যখন ফরাসিদের কম্বোডিয়া দখলের পর দুই দেশের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল।