প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটে মিলল মাদরাসাছাত্রীর মরদেহ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে ছোঁয়া মনি (৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা।নিহত ছোঁয়া মনি উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামের সুমন শেখের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে মাদরাসা থেকে ফেরার পর থেকেই ছোঁয়া মনি নিখোঁজ ছিল। দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজির পর বিকেলে প্রতিবেশী দাদার বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। ভাঙা টয়লেটের ওপর পড়ে থাকা মরদেহের জামা রক্তাক্ত ছিল। মুখ, মাথা ও শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্নও স্পষ্ট দেখা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয়রা পরিত্যক্ত টয়লেটে শিশুটির মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি কেন এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা বের করতে। হত্যাকারীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হবে; এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিশুটির মুখ, মাথা ও সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটে মিলল মাদরাসাছাত্রীর মরদেহ

আপডেট সময় : ০৯:২৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে ছোঁয়া মনি (৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা।নিহত ছোঁয়া মনি উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামের সুমন শেখের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে মাদরাসা থেকে ফেরার পর থেকেই ছোঁয়া মনি নিখোঁজ ছিল। দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজির পর বিকেলে প্রতিবেশী দাদার বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। ভাঙা টয়লেটের ওপর পড়ে থাকা মরদেহের জামা রক্তাক্ত ছিল। মুখ, মাথা ও শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্নও স্পষ্ট দেখা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয়রা পরিত্যক্ত টয়লেটে শিশুটির মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি কেন এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা বের করতে। হত্যাকারীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হবে; এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিশুটির মুখ, মাথা ও সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।