টাঙ্গাইলে গর্ভবতী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে

- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"source_tags":[],"total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

প্রতিক ছবি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গর্ভবতী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কুঠিবয়ড়া গ্রামে গেলো শুক্রবার বিকেলে ওই গৃহবধূ বাড়িতে একা রান্না করতেছিল। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা বিএনপির নেতা তোতা মোল্ল্যা বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে কথা বলার এক পর্যায়ে তাকে জড়িয়ে ধরে প্রথমে শ্লীতাহানি ও পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ডাক-চিৎকার করলে লোকজনের উপস্থিতি পেয়ে পালিয়ে যায় বিএনপির ওই নেতা। এই ঘটনায় শনিবার অভিযুক্ত তোতা মোল্ল্যার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর বাবা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের পরই থেকেই মেয়ের বাবা ও তার শশুরবাড়ির লোকজনকে হামলা এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে তোতা ও তার লোকজন। ঘটনার বিষয়ে এখনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এদিকে থানায় অভিযোগ করায় মেয়ের বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপির ওই নেতা। ফলে গেল ৫ দিন ধরে তিনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়িতেই থাকছেন। তবে প্রভাবশালীদের ভয়ে এই বিষয়ে স্থানীয়রাও কথা বলতে রাজি হয়নি।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, স্বামী ঢাকায় কাজ করে। বাড়িতে শাশুড়ি আর আমিই থাকি। ঘটনার দিন শাশুড়ি তোতা মোল্ল্যার বাড়িতে গিয়েছিল কাজে। সেই সুযোগে তোতা মামা বাড়িতে প্রবেশ করে কথা বলার এক পর্যায়ে ঝাপটে ধরে শ্লীনতাহানি করে। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ডাক-চিৎকার করলে আশাপাশের মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
গৃহবধূর শাশুড়ি জানান, বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় একা পেয়ে ছেলের বউয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে আমার চাচাতো ভাই। ভাগিনার স্ত্রীর সঙ্গে কিভাবে মামা এমন আচরণ করতে পারে। ঘটনার পরও বুধবার সকালে বাড়িতে হামলা করেছে তারা। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায় না। অপরাধীর কঠোর বিচার চাই।
গৃহবধূর বাবা ও মা জানান, আপস না করায় কুঠিবয়ড়া বাজারের আমার চা দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরে গেলেই মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তারা বিএনপির বড় নেতা এলাকায় অনেক প্রভাব তাদের। তারপরও ঘটনাটি মীমাংসার জন্য বলা হলেও তারা বসেনি। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত চা দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ভূঞাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তারা মীমাংসা করবে এমনটি বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে আর মীমাংসা করতে পারেনি তাদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।