নীফামারী প্রতিনিধি:
নীফামারীর সৈয়দপুরে জিনের বাদশাহ পরিচয়ে ভাগ্যবদলের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে। সে ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় এক মাস কিশোরীটি নিরুদ্দেশ রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মেয়েকে না পেয়ে এখন দিশেহারা তার পরিবার পুলিশকে জানিয়েও সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি মামলাও নেওয়া হয়নি বলে তারা জানিয়েছেন।
কিশোরীর বাবা ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, একটি অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে কল করে জিনের বাদশাহ পরিচয়ে কিশোরীটিকে বলা হয়, ‘তুই বড় ভাগ্যবানরে বাচ্চা। তোর জন্য একটা সুসংবাদ আছে। আমি জিনের বাদশাহ বলছি। তোকে সাত রাজার গুপ্তধন দেব। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়লোক বানাব। তুই আমার কথা মতো স্কুলমাঠে কিছু স্বর্ণালংকার পুঁতে রাখবি। ওই গর্তে মিলবে গুপ্তধন। এটা কাউকে বলতে পারবি না। স্বর্ণালংকার গর্তে রেখে পেছনে ফিরে তাকাতে পারবি না।’
এসব কথা বিশ্বাস করে মেয়েটি দাওয়াতের কথা বলে তার নানীর বাড়ি থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, হাতের বালা, খালার কাছ থেকে কানের দুল, চাচির কাছ থেকে দুল ও নাকফুল নিয়ে স্থানীয় স্কুলমাঠে পুঁতে রাখে। সেগুলোর মূল্য অন্তত সাড়ে ৩ লাখ টাকা। গর্ত থেকে কাপড়ে মোড়ানো সোনালি রঙের মূর্তি পায় সে। বাড়িতে গিয়ে খুলে দেখে সেটি স্বর্ণের নয়।
ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানায়নি কিশোরী। নানির বাড়ি থেকে আসলে স্বজনরা স্বর্ণালংকার চাইলে বিষয়টি জানতে পারেন তার বাবা। পরে জিজ্ঞেস করলে পুরো বিষয়টি খুলে বলে সে। বিকেলে ফের কথিত জিনের বাদশাহর কল আসে মেয়েটির মোবাইল ফোনে। সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেনি কিশোরী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে তার বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরে অভিযোগ দিয়েছেন সৈয়দপুর থানায়।