ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
শিরোনাম ::
ইতালীর এর নারী নাগরিকের পাসপোর্ট-মোবাইল ছিনতাই , গ্রেপ্তার ২ ভালুকায় বিরুনীয়া ইউনিয়নের অটো টেম্পু, সিএনজি, মাহিন্দ্রর রোড পরিচালনা কমিটির অনুমদন হাত-পা বেঁধে ৫ জন মিলে ধর্ষণের পর হাতিরঝিলে ফেলে রাখে কিশোরীর মরদেহ হারানো ৫২টি মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করলেন পুলিশ কমিশনার কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৭ নাটোরের চাঁদাবাজিকালে কৃষক লীগ নেতা ধরা, খুঁটিতে বাঁধল জনতা অতঃপর… নারায়ণগঞ্জে ওয়াশরুমে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে নারীর আত্মহত্যা তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ নির্দোষ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইয়ামিনকে মারলো কে? রাজশাহীতে জামিনে মুক্তির পর,কারাফটকে ফের আটক বাগমারা’র-এমপি কালাম টাঙ্গাইলে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ক্ষোভে স্ত্রীর হাত কেটে প্রতিশোধ নিলেন স্বামী!

সুদানে বন্ধ হচ্ছে জাতিসংঘ মিশন

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফ্রিকার দেশ সুদানে জাতিসংঘের মিশন বন্ধ করে প্রস্তাব পাস করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। রোবাবর থেকে দেশটিতে মিশনের কার্যক্রমে ইতি টানবে বৈশ্বিক সংস্থাটি। এরপর সোমবার থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে দেশটি থেকে মিশনের সব কর্মকর্তা প্রত্যাহার করা হবে। খবর আলজাজিরার।

সুদান সরকারের অনুরোধের পর গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এই মিশন বন্ধ করতে ভোটের আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। ভোটাভুটিতে মিশন বন্ধের পক্ষে ১৪টি দেশ ভোট দিয়েছে। তবে রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

সুদানে জাতিসংঘের মিশনটির নাম ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিশন অ্যাসিসট্যান্স মিশন (ইইএনআইটিএএমএস)। ২০২০ সালে স্বৈরাচারী ওমর আল বশির সরকারের পতন হলে দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনে সহায়তা করতে এই মিশনের যাত্রা হয়েছিল।

গত মাসে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বর্তমানে এই মিশনে ২৪৫ জন সদস্য কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে ৮৮ জন পোর্ট সুদানে। আর বাকিরা নাইরোবি ও আদ্দিস আবাবায় কর্মরত।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতরা। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের উপরাষ্ট্রদূত জেমস কারিউকি বলেছেন, আমাকে পরিষ্কার করতে দিন; এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্য এই মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে সুদানে আন্তর্জাতিক উপস্থিতি কমে গেলে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা চালানো অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হবে।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সুদানে বেসামরিক সরকারের পতন ঘটিয়ে শাসন ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেন সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। ফলে সুদানের জন্য গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা আরও কঠিন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সুদানকে গণতন্ত্রে ফেরাতে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল আরেকটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক সহযোগী ও বেসামরিক বাহিনী আরএসএফপ্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলুর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে ১৫ এপ্রিল রাজধানী খারতুমে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে হামলা করে বসে আরএসএফ। এ হামলার পর সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ৬০ লাখ মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছেন।

ট্যাগস :

ইতালীর এর নারী নাগরিকের পাসপোর্ট-মোবাইল ছিনতাই , গ্রেপ্তার ২

সুদানে বন্ধ হচ্ছে জাতিসংঘ মিশন

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফ্রিকার দেশ সুদানে জাতিসংঘের মিশন বন্ধ করে প্রস্তাব পাস করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। রোবাবর থেকে দেশটিতে মিশনের কার্যক্রমে ইতি টানবে বৈশ্বিক সংস্থাটি। এরপর সোমবার থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে দেশটি থেকে মিশনের সব কর্মকর্তা প্রত্যাহার করা হবে। খবর আলজাজিরার।

সুদান সরকারের অনুরোধের পর গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এই মিশন বন্ধ করতে ভোটের আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। ভোটাভুটিতে মিশন বন্ধের পক্ষে ১৪টি দেশ ভোট দিয়েছে। তবে রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

সুদানে জাতিসংঘের মিশনটির নাম ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিশন অ্যাসিসট্যান্স মিশন (ইইএনআইটিএএমএস)। ২০২০ সালে স্বৈরাচারী ওমর আল বশির সরকারের পতন হলে দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনে সহায়তা করতে এই মিশনের যাত্রা হয়েছিল।

গত মাসে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বর্তমানে এই মিশনে ২৪৫ জন সদস্য কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে ৮৮ জন পোর্ট সুদানে। আর বাকিরা নাইরোবি ও আদ্দিস আবাবায় কর্মরত।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতরা। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের উপরাষ্ট্রদূত জেমস কারিউকি বলেছেন, আমাকে পরিষ্কার করতে দিন; এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্য এই মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে সুদানে আন্তর্জাতিক উপস্থিতি কমে গেলে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা চালানো অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হবে।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সুদানে বেসামরিক সরকারের পতন ঘটিয়ে শাসন ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেন সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। ফলে সুদানের জন্য গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা আরও কঠিন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সুদানকে গণতন্ত্রে ফেরাতে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল আরেকটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক সহযোগী ও বেসামরিক বাহিনী আরএসএফপ্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলুর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে ১৫ এপ্রিল রাজধানী খারতুমে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে হামলা করে বসে আরএসএফ। এ হামলার পর সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ৬০ লাখ মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছেন।