মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

সময়ের সন্ধানে ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার পূর্ব বাগান টিলায় নৃশংসভাবে মা-মেয়েকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আমেনা খাতুন (৮৮) ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তারকে (৪০) হত্যা করেছে তাদেরই আত্মীয় সাইফুল ইসলাম (৩৫)। সাইফুল ও আমেনা সম্পর্কে দাদি-নাতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে নিজ কার্যালয়ের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল।

পুলিশ সুপার জানান, ২০ থেকে ২১ আগস্ট রাতের কোনো এক সময়ে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে খুন হন আমেনা খাতুন ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তার। ঘটনার পর নানা সূত্র ধরে তদন্তে আসামি সাইফুলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল হত্যার দায় স্বীকার করে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে।

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে হত্যার শিকার আমেনা তার বাড়ির কিছু গাছ বিক্রি করেন। ঘটনার দিন গাছ বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে গালমন্দের শিকার হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

হত্যার রাতে দাদি ও ফুফুর ঘরে ঢুকে সাইফুল প্রথমে ফুপু রাহেনা আক্তারের গলায় কোপ দেয়। পরে একই দা দিয়ে দাদি আমেনা খাতুনকেও হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার পূর্ব বাগান টিলায় নৃশংসভাবে মা-মেয়েকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আমেনা খাতুন (৮৮) ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তারকে (৪০) হত্যা করেছে তাদেরই আত্মীয় সাইফুল ইসলাম (৩৫)। সাইফুল ও আমেনা সম্পর্কে দাদি-নাতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে নিজ কার্যালয়ের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল।

পুলিশ সুপার জানান, ২০ থেকে ২১ আগস্ট রাতের কোনো এক সময়ে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে খুন হন আমেনা খাতুন ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তার। ঘটনার পর নানা সূত্র ধরে তদন্তে আসামি সাইফুলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল হত্যার দায় স্বীকার করে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে।

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে হত্যার শিকার আমেনা তার বাড়ির কিছু গাছ বিক্রি করেন। ঘটনার দিন গাছ বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে গালমন্দের শিকার হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

হত্যার রাতে দাদি ও ফুফুর ঘরে ঢুকে সাইফুল প্রথমে ফুপু রাহেনা আক্তারের গলায় কোপ দেয়। পরে একই দা দিয়ে দাদি আমেনা খাতুনকেও হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।