অটোরিকশার সঙ্গে কর্মসংস্থান জড়িত, চাইলেও উঠাতে পারছি না: ফাওজুল কবির

- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বহির্বিশ্বের কথা ভাবলে অটোরিকশা এভাবে চলতে দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কথাও ভাবতে হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি ও অবস্থান বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে না পারে।
তিনি বলেন, আইডিয়েলি এসব বাহন রিস্কি (ঝুঁকিপূর্ণ) এবং এগুলো যানজটের কারণ। এগুলো উঠিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু একটা জিনিসও মনে রাখতে হবে এগুলো কিন্তু আমাদের লোকের কর্মসংস্থানের উৎস। আমরা তো মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে পারছি না। কারণ, প্রতিটিা অটোরিকশার পেছনে একটা পরিবার আছে। সেই পরিবারের জীবনধারণ কিন্তু এটাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ যদি আমি এখান থেকে বলি কাল থেকে কোনো অটোরিকশা চালাতে দেওয়া হবে না, যদি ব্যবস্থা নিতে শুরু করে আমাদের পুলিশ থেকে; তাহলে তো কতজন চালক রাস্তায় নেমে আসবে। এরপরে রাস্তায় কি আদৌ কেউ চলাচল করতে পারবে?
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অটোরিকশা নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার সচিবকে এ বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, আমরা ঢাকা শহরে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করেছি। অটোরিকশাচালকদের সতর্ক করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা রাস্তার নিয়মকানুন মেনে চলেন।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রাথমিকভাবে দুটি রাস্তায় তিন চাকার অটোরিকশাগুলো দেবো। যেগুলো অত্যন্ত কম গতিসম্পন্ন। জ্বালানি কম, সাশ্রয়ী হবে যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। যানজট কিছুটা নিরসন হবে। পরীক্ষামূলক এই ব্যবস্থা যদি সফল হয়, তবে পুরোপুরি সিটি
করপোরেশনগুলোতে আমরা চালু করব। আশা করি আমরা এটার একটা ফল পাব। এখানে ট্রাফিক বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা জড়িত ছিল। পাইলট করার পর এটা আমরা ব্যাপকভাবে ঢাকা সিটিতে দেব।