শোভন মিয়া ও ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমি। ছবি- সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় দিয়ে শুরু আর তারই টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে উড়ে এলেন আইজুমি (২৫)। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার অনুপনগর গ্রামের যুবক শোভন মিয়ার (৩০) সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক অবশেষে পরিণতি পেল বিয়েতে।

সোমবার (২৬ মে) রাতে কোর্টে তাদের আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

স্থানীয়রা জানান, ইন্দোনেশিয়ান তরুণীকে একনজর দেখতে সোমবার সকাল থেকেই শোভনের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ। শোভনের পরিবারও বিদেশি পুত্রবধূকে হাসিমুখে গ্রহণ করেছে।
জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান শোভন। পাঁচ বছর আগে সেখানেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় আইজুমির সঙ্গে, যিনি সিঙ্গাপুরেই কর্মরত ছিলেন। বন্ধুত্ব থেকে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। গত বছর শোভন দেশে ফেরেন, তবে তাদের যোগাযোগ ছিল নিয়মিত।

সম্প্রতি, ২৫ মে (রোববার) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসেন আইজুমি। পরদিন বেলা ১১টার দিকে শোভনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান তিনি। ওই রাতেই চুয়াডাঙ্গা কোর্টে তাদের বিয়ে হয়। দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার টাকা।

বিয়ের আগে আইজুমি বলেন, আমি শোভনকে ভালোবাসি, তাই নিজেই এসেছি বাংলাদেশে। সে চাইলে আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই।

শোভন মিয়া বলেন, ‘ভালোবাসা কখনোই জাত-বর্ণ বা দেশের বাধা মানে না। আমি গর্বিত যে, জিমনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে মেনে নিয়েছে। প্রেম যদি খাঁটি হয় দূরত্ব কোনো বিষয় না।’

শোভনের মা বলেন, আমার ছেলের পছন্দকে আমরা সম্মান করেছি। আইজুমি খুব ভদ্র আর মিশুক মেয়ে, আমরা খুব খুশি।

এই আন্তর্দেশীয় প্রেম ও বিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।