সংবাদ শিরোনাম ::
নিজ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায়, পিতাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯ ফোন করে জানালেন মেয়ে ৮ মে পালন করা হয় ‘বিশ্ব গাধা দিবস’ গাধা কি আসলেই বোকা?যা বলছে গবেষণা.. বিআরটি কর্মকর্তাকে ঘুষ না দিলে সেবাগ্রহীতাদের হকিস্টিক দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক ডিবি প্রধান রেজাউল হলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহত ভারতীয় সেনা টাঙ্গাইলে গর্ভবতী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যা কি সব কিছুর সমাধান? ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহা মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন, এখন ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান
সংবাদ শিরোনাম ::
নিজ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায়, পিতাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯ ফোন করে জানালেন মেয়ে ৮ মে পালন করা হয় ‘বিশ্ব গাধা দিবস’ গাধা কি আসলেই বোকা?যা বলছে গবেষণা.. বিআরটি কর্মকর্তাকে ঘুষ না দিলে সেবাগ্রহীতাদের হকিস্টিক দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক ডিবি প্রধান রেজাউল হলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহত ভারতীয় সেনা টাঙ্গাইলে গর্ভবতী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যা কি সব কিছুর সমাধান? ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহা মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন, এখন ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা

মো: জামশেদ- চট্টগ্রাম থেকে
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। তিনটি আসনে বড় ব্যবধানে জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকি একটি আসনে জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।

নবনির্বাচিত ১৬ জনের মধ্যে পুরোনো এমপি রয়েছেন ৯ জন। সেই হিসাবে এবার চট্টগ্রামের সাতটি আসনের জনসাধারণ পেয়েছেন সংসদে নতুন প্রতিনিধি।

চট্গ্রাম-১ (মীরসরাই)

রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-১ আসনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। এ আসনে রুহেল-গিয়াস ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আরও তিনজন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি)

এ আসনের ১৪২ কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের একমাত্র নারী প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পান ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট। এ আসনে সনি-তৈয়ব ছাড়াও ভোটের মাঠে ছিলেন আরও সাত প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ)

এ আসনে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয়বাবের মতো জয়ী হন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন পান ২৮ হাজার ৭০ ভোট। এ দুজন ছাড়াও সন্দ্বীপ আসনে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও ৬ প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড)

আসনটিতে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোটে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আল মামুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল কবির পান ৪ হাজার ৮৮০ ভোট। এ ছাড়াও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও পাঁচজন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী)

এ আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জোটের মনোনয়ন পাওয়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আনিসুল ইসলাম। তিনি পান ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান পান ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান)

আসনটিতে টানা পঞ্চমবারের মতো জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি পান ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পান ৩ হাজার ১৫৯ ভোট।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া)

আসনটিতে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি পান ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান পান ৯ হাজার ৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাদগাঁও)

আসনেটিতে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আবদুছ ছালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী পান ৪১ হাজার ৫০০ ভোট৷ এ আসনে ছালাম-বিজয় ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে ছিলেন আরও ৮ প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি)

আসনটিতে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি পান ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সনজিদ রশিদ চৌধুরী পান ১ হাজার ৯৮২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাঁচলাইশ)

আসনটিতে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে হ্যাভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলমকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর)

আসনেটিতে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম এ লতিফ। এ আসনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস থাকলেও ৪ হাজার ৯৬৯ ভোটে হেরেছেন হ্যাভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। এ আসন থেকে ভোটের মাঠে ছিলেন আরও ৫ জন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)

আসনটিতে ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী পান ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনেয়ারা-কর্ণফুলী)

আসনটিতে ৬০ হাজার ৭৯ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো জয়ী হন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মাস্টার আবুল হোসেন পান ১ হাজার ৬৬১ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ)

আসনটিতে ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল জাব্বার পান ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)

আসনটিতে হেভিওয়েট প্রার্থী টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব। তিনি পান ৮৫ হাজার ৬২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পান ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)

আসনটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। তিনি পান ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ কবির লিটন পান ৩২ হাজার ২২০ ভোট।

নির্বাচন চলাকালে এ আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধমকানোর অভিযোগে প্রার্থিতা হারান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এতে তার ভোট বাতিল হিসেবে গণ্য হওয়ায় এ আসনে মোট বাতিল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৯৬৮টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। তিনটি আসনে বড় ব্যবধানে জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকি একটি আসনে জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।

নবনির্বাচিত ১৬ জনের মধ্যে পুরোনো এমপি রয়েছেন ৯ জন। সেই হিসাবে এবার চট্টগ্রামের সাতটি আসনের জনসাধারণ পেয়েছেন সংসদে নতুন প্রতিনিধি।

চট্গ্রাম-১ (মীরসরাই)

রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-১ আসনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। এ আসনে রুহেল-গিয়াস ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আরও তিনজন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি)

এ আসনের ১৪২ কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের একমাত্র নারী প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পান ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট। এ আসনে সনি-তৈয়ব ছাড়াও ভোটের মাঠে ছিলেন আরও সাত প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ)

এ আসনে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয়বাবের মতো জয়ী হন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন পান ২৮ হাজার ৭০ ভোট। এ দুজন ছাড়াও সন্দ্বীপ আসনে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও ৬ প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড)

আসনটিতে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোটে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আল মামুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল কবির পান ৪ হাজার ৮৮০ ভোট। এ ছাড়াও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও পাঁচজন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী)

এ আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জোটের মনোনয়ন পাওয়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আনিসুল ইসলাম। তিনি পান ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান পান ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান)

আসনটিতে টানা পঞ্চমবারের মতো জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি পান ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পান ৩ হাজার ১৫৯ ভোট।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া)

আসনটিতে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি পান ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান পান ৯ হাজার ৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাদগাঁও)

আসনেটিতে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আবদুছ ছালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী পান ৪১ হাজার ৫০০ ভোট৷ এ আসনে ছালাম-বিজয় ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে ছিলেন আরও ৮ প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি)

আসনটিতে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি পান ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সনজিদ রশিদ চৌধুরী পান ১ হাজার ৯৮২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাঁচলাইশ)

আসনটিতে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে হ্যাভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলমকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর)

আসনেটিতে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম এ লতিফ। এ আসনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস থাকলেও ৪ হাজার ৯৬৯ ভোটে হেরেছেন হ্যাভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। এ আসন থেকে ভোটের মাঠে ছিলেন আরও ৫ জন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)

আসনটিতে ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী পান ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনেয়ারা-কর্ণফুলী)

আসনটিতে ৬০ হাজার ৭৯ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো জয়ী হন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মাস্টার আবুল হোসেন পান ১ হাজার ৬৬১ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ)

আসনটিতে ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল জাব্বার পান ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)

আসনটিতে হেভিওয়েট প্রার্থী টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব। তিনি পান ৮৫ হাজার ৬২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পান ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)

আসনটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। তিনি পান ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ কবির লিটন পান ৩২ হাজার ২২০ ভোট।

নির্বাচন চলাকালে এ আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধমকানোর অভিযোগে প্রার্থিতা হারান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এতে তার ভোট বাতিল হিসেবে গণ্য হওয়ায় এ আসনে মোট বাতিল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৯৬৮টি।