ছবি :সংগৃহীত
সিলেটের ওসমানীনগরে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। রবিউল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরকে মৃত ভেবে দাফন করেছিল তার পরিবার। এমনকি মা বাদী হয়ে হত্যা মামলাও করেছিলেন। কিন্তু ১৫ দিন পর সেই রবিউল জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসেছে।
ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে রবিউল স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করত। গত ২৬ জুলাই সে নিখোঁজ হয়। এরপর ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা লাশটিকে রবিউলের বলে শনাক্ত করে ৬ আগস্ট দাফন সম্পন্ন করেন।
পরবর্তীতে রবিউলের মা পারুল বেগম কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একটি রেস্তোরাঁর মালিকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত চলাকালে পরিবারের সদস্যরা রবিউলকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে খুঁজে পান। শুক্রবার তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
শনিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়ে রবিউল জানায়, সে নিখোঁজ হয়নি; বরং ইচ্ছাকৃতভাবে আগের কাজ ছেড়ে অন্যত্র কাজ শুরু করেছিল। পরে নবীগঞ্জে অবস্থানকালে পরিবার তাকে খুঁজে পায়। আদালতের নির্দেশে রবিউলকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, যাকে রবিউল ভেবে দাফন করা হয়েছিল, সেই অজ্ঞাত লাশের বিষয়টি এখনও রহস্যজনক। লাশটির প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত হলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।