ছবি : সংগৃহীত
সিলেটের ওসমানীনগরে ছেলের হত্যাকারীর বিচার ও মামলা গ্রহণের দাবিতে নিহত রবিউল ইসলাম নাঈমের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তার মা পারুল বেগম (৫৫)।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিচার দাবি করেন নিহতের মা, স্বজন এবং স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ সময় মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং মামলার আশ্বাস দিলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্থতায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর মরদেহ উদ্ধার
ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়া ও পারুল বেগমের দ্বিতীয় ছেলে রবিউল ইসলাম নাঈম স্থানীয় ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টে নাইট শিফটে কাজ করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই নাইট শিফটে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন রবিউল। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে তার পরিবার ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে রোববার (৩ আগস্ট) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী একটি ডোবা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা গিয়ে মরদেহটি রবিউলের বলে শনাক্ত করেন।
পরিবারের অভিযোগ ও পুলিশি ব্যবস্থা
নিহতের বড় ভাই কাইয়ুম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইকে রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল খুন করেছে। আমরা বুলবুলের ফাঁসি চাই।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুলকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।