ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত পৌনে ২টার দিকে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী। এ সময় তার সঙ্গে চার বছরের শিশুসন্তান ছিল।
নিহত সালমা আক্তার (৩২) বাউফল উপজেলার নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে। স্বামী সরোয়ার একই উপজেলার নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা। ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
পুলিশ ও মাদ্রাসার সূত্রে জানা যায়, চাকরির সুবাদে চার বছর আগে বাউফলে আসেন সালমা ও তার স্বামী সরোয়ার। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তারা উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে সালমা ও সরোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সালমার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ ঘরের ভেতর রেখে দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সন্তানসহ বাউফল থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এ সময় তিনি দাবি করেন, বিবেকের তাড়নায় তিনি আত্মসমর্পণ করতে হাজির হয়েছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, সরোয়ার থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সালমার মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিশুটিকেও পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।