ছবি: সংগৃহীত
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লিখে আত্মহত্যা করেছেন তনু চন্দ্র দাস (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সোমবার (২৮ জুলাই) জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে অস্থির হয়ে পড়েন তিনি। হতাশা থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাতে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তনু।
তজুমদ্দিন মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তনু চন্দ্র দাস। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শায়েস্তাকান্দি গ্রামের শিক্ষক ক্ষিতিস চন্দ্র দাসের একমাত্র কন্যা।
তনুর মা উজ্জলা রাণী জানান, পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে তনু জানান, তিনি পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লিখেছেন। বারবার বলছিলেন, ‘আমি আর পাশ করব না।’ পরিবার তাকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও রাত ৯টার দিকে তার রুম থেকে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখতে পান, তনু ঘরে সংরক্ষিত কিটনাশক পান করেছেন।
তৎক্ষণাৎ তাকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. জুনায়েদ হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। কিটনাশকের বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান জানান, মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।