ছবি:সংগৃহীত
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ইস্যু নিয়ে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত দিনদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দুই দেশই একে অপরকে লক্ষ্য করে শত শত মিসাইল ছোড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে হস্তক্ষেপ না করতে লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে সতর্ক করলেন সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস ব্যারাক।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে আলজাজিরা লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
থমাস ব্যারাক বলেন, হিজবুল্লাহ যদি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িত হয় তবে তারা ‘খুব খারাপ সিদ্ধান্ত’ নেবে।
তিনি বলেন, আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলতে পারি, হিজবুল্লাহ যদি এমন কিছু চিন্তা করে থাকে তাহলে এটি খুব, খুব, খুব খারাপ সিদ্ধান্ত হবে।
ইরান সমর্থিত আধাসামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত বছর ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রচণ্ড আঘাতের সম্মুখীন হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল তাদের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর হত্যা।
গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ইহুদিবাদীরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।