ছবি: সংগৃহীত
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকার পশুর হাটগুলোতে এখন কেনাবেচার চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রতিবারের মতো এবারও গরুর বাহারি সব নাম নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
একসময় গরুর নাম রাখা হতো শরীরের বর্ণ দেখে। রং সাদা হলে ধলা বা ধলু, কালো হলে কালু, লাল হলে লালু নাম রাখা হতো। কেউ গরুর মেজাজ অনুযায়ী নাম রাখতেন রাজা, বাদশা বা সম্রাট। তবে বর্তমানে গরুর নাম রাখা হয় পরীমণি, শাকিব খান, জায়েদ খান, ডিপজল, মিশা বা প্রিন্স মামুন।
রাজধানীর গাবতলী হাটে এমনই তিনটি গরুর নাম রাখা হয়েছে পরীমণি, শাকিব খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। আকর্ষণীয় এই গরু তিনটি দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। গরুর সঙ্গে অনেকেই ছবি তুলছেন, আবার কেউ বাহারি নামের এসব গরুর ভিডিও করছেন।
ক্রেতা-দর্শনার্থীদের এসব কর্মকাণ্ডে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন গরু বিক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, ইউটিউবার আর কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিউ কারসাজিতে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। গরুর নামে চলছে ভাইরাল ব্র্যান্ডিং, সঙ্গে মিথ্যা দামের প্রচার। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন ক্রেতা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিক্রেতারা।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী হাটে কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, পশুর নামকরণ থেকে শুরু করে দাম নির্ধারণ- সবই এখন ইউটিউব লাইভ আর কন্টেন্টের শোডাউনে নির্ধারিত হচ্ছে। এসব কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হাটে গিয়ে নিজের মতো করে পশুর নাম দিয়ে ভিডিও করে নিচ্ছেন। এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বাজার ঘুরে পরীমণি, শাকিব খান, ডোনাল্ড ট্রাম্প, লায়লা ও প্রিন্স মামুনসহ বেশকিছু ভাইরাল হওয়া পশুর দেখা মিলেছে। এর মধ্যে পরীমণি নাম দেওয়া গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪ লাখ টাকা, শাকিব খান নামে গরু ৬ লাখ টাকা, ডোনাল্ড ট্রাম্প গরু ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া লায়লা নাম দেওয়া গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, প্রিন্স মামুন গরুর দাম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকার পশুর হাটগুলোতে এখন কেনাবেচার চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রতিবারের মতো এবারও গরুর বাহারি সব নাম নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
একসময় গরুর নাম রাখা হতো শরীরের বর্ণ দেখে। রং সাদা হলে ধলা বা ধলু, কালো হলে কালু, লাল হলে লালু নাম রাখা হতো। কেউ গরুর মেজাজ অনুযায়ী নাম রাখতেন রাজা, বাদশা বা সম্রাট। তবে বর্তমানে গরুর নাম রাখা হয় পরীমণি, শাকিব খান, জায়েদ খান, ডিপজল, মিশা বা প্রিন্স মামুন।
রাজধানীর গাবতলী হাটে এমনই তিনটি গরুর নাম রাখা হয়েছে পরীমণি, শাকিব খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। আকর্ষণীয় এই গরু তিনটি দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। গরুর সঙ্গে অনেকেই ছবি তুলছেন, আবার কেউ বাহারি নামের এসব গরুর ভিডিও করছেন।
ক্রেতা-দর্শনার্থীদের এসব কর্মকাণ্ডে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন গরু বিক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, ইউটিউবার আর কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিউ কারসাজিতে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। গরুর নামে চলছে ভাইরাল ব্র্যান্ডিং, সঙ্গে মিথ্যা দামের প্রচার। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন ক্রেতা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিক্রেতারা।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী হাটে কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, পশুর নামকরণ থেকে শুরু করে দাম নির্ধারণ- সবই এখন ইউটিউব লাইভ আর কন্টেন্টের শোডাউনে নির্ধারিত হচ্ছে। এসব কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হাটে গিয়ে নিজের মতো করে পশুর নাম দিয়ে ভিডিও করে নিচ্ছেন। এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বাজার ঘুরে পরীমণি, শাকিব খান, ডোনাল্ড ট্রাম্প, লায়লা ও প্রিন্স মামুনসহ বেশকিছু ভাইরাল হওয়া পশুর দেখা মিলেছে। এর মধ্যে পরীমণি নাম দেওয়া গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪ লাখ টাকা, শাকিব খান নামে গরু ৬ লাখ টাকা, ডোনাল্ড ট্রাম্প গরু ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া লায়লা নাম দেওয়া গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, প্রিন্স মামুন গরুর দাম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।
‘পরীমনি ও শাকিব খান’ নাম দেওয়া গরুর বিক্রেতা আবু হারিস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, একজন ইউটিউবার এসে গরুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল—এই হচ্ছে ‘শাকিব খান, তার পাশে দাঁড়ানো গরুটি পরীমণি’। এরমধ্যে পরীমণি নামক গরুর দাম ৪ লাখ টাকা এবং শাকিব খান নামক গরুর দাম ৬ লাখ টাকা। দাম নিয়ে আমি কিছু বলার আগেই সে ভিডিও করে নিল। পরে দেখি ভিডিও ভাইরাল।
তিনি বলেন, যে গরুর দাম সে বলল ৪ লাখ, আমার সেটি ক্রয়মূল্যই ৩ লাখ ৬০ হাজার। এখন আমি ৪ লাখ ৫০ হাজার চাইলে ক্রেতা বলে ‘ইউটিউবে তো ৪ লাখ বলেছে!
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষের নাম ব্যবহারে যদি গরু বিক্রির বাস্তবতা হারিয়ে ফেলেন তাহলে তো কোরবানি ঈদের আসল সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়। বলে রাখা ভালো যে, ইসলামের দৃষ্টিতে কোরবানি করা ওয়াজিব। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে কোরবানি করতে হয়। তাই ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত পশুর নাম এমন না রাখাই ভালো। রাখলেও মানুষের নামে না রেখে, রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাখা উচিত। যাতে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য নষ্ট না হয়।