আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড আগামী ১৬ জুলাই কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে, গত বছর ভারতের কেরালার নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছিলেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান প্রিয়া। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করার পর নিজেই ক্লিনিক চালু করেন তিনি। ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদি নামে স্থানীয় একজনের সাথে যোগাযোগ করেন ভারতীয় ওই নারী, কারণ ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে, ব্যবসা শুরু করার জন্য স্থানীয় কারও সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাধ্যতামূলক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কেরালার ওই নার্সের সাথে মাহদির বিরোধ হয় এবং তিনি ওই ইয়েমেনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এরপরও মাহদি ভারতীয় ওই নার্সকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, নিজের জব্দ থাকা পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির শরীরে ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। পরে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় প্রিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০১৮ সালে তাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে বহাল রাখে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ১০:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড আগামী ১৬ জুলাই কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে, গত বছর ভারতের কেরালার নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছিলেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান প্রিয়া। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করার পর নিজেই ক্লিনিক চালু করেন তিনি। ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদি নামে স্থানীয় একজনের সাথে যোগাযোগ করেন ভারতীয় ওই নারী, কারণ ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে, ব্যবসা শুরু করার জন্য স্থানীয় কারও সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাধ্যতামূলক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কেরালার ওই নার্সের সাথে মাহদির বিরোধ হয় এবং তিনি ওই ইয়েমেনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এরপরও মাহদি ভারতীয় ওই নার্সকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, নিজের জব্দ থাকা পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির শরীরে ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। পরে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় প্রিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০১৮ সালে তাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে বহাল রাখে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।